‘কুল্লু নাফসিং ঝায়িক্বাতুল মাউত’ অর্থাৎ (দুনিয়ার) প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।’ এটা আল্লাহ তাআলার ঘোষণা। এতো গেল দুনিয়ার সব জানদার প্রাণীর কথা।
একটা কথা মুসলিম উম্মাহর স্মরণ রাখা চাই- দুনিয়ার জীবনই মানুষের জন্য শেষ নয়, বরং দুনিয়ার এ ক্ষণস্থায়ী জীবনের পরেই শুরু হবে পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের পথ চলা।
প্রশংসা মাত্রই আল্লাহ তা‘আলার জন্য যিনি অইবনশ্বর ও চিরঞ্জীব। দুরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ মানব মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর, তাঁর পরিবার পরিজন এবং সকল সাহাবীগণের ওপর।
বারযাখী জীবন সম্পর্কে এ বইটি হাতে পেয়েই হৃদয়ে শিহরণ জাগল যে, এ ধরনের বই সচরাচর হাতে পাওয়া যায় না বিধায় জনসাধারণ এ অদৃশ্য জীবন সম্পর্কে তেমন কিছু জানতে পারে না। এমনকি বহু আলেমদের মনেও অনেক সময় সন্দেহের জাল বুনতে শুরু করে, ফলে এমনও বলতে শুনা যায় যে, কবরের ‘আযাব বলতে কিছু নেই। অথচ কুরআনের বহু আয়াত এবং বহু সহীহ হাদীস রয়েছে যা কবরে ‘আযাব হওয়ার ওপর প্রমাণ করে।
মানুষের জীবনে কয়েকটি ধাপ রয়েছে: পার্থিব জীবন, বারযাখী জীবন এবং আখিরাতের স্থায়ী জীবন। বারযাখী জীবনেই মানুষ কর্মের প্রায়শ্চিত্ত হিসাবে -হয় শাস্তি, না হয় শান্তি ভোগ করবে। আর এটিই সালাফদের মাযহাব।
আমার অনুবাদ করা এ বইটি থেকে পাঠকবৃন্দ কিছুটা উপকৃত হলেও আমার পরিশ্রম স্বার্থক হবে বলে আমি মনে করি। এ বই প্রকাশে যারা আমাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলের নিকট আমি চিরকৃতজ্ঞ।
পরিশেষে আমার নিবেদন এই যে, আরবি থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদের কাজ সহজ নয় এবং সংশোধনের কাজও কখনো চুড়ান্ত করা যায় না। কারণ এতে অন্যের মনের ভাব নিজের ভাষায় ব্যক্ত করা হয়। কাজেই বইটি পড়ার সময় কোনো ভুলত্রুটি পাঠকবৃন্দের দৃষ্টিগোচর হলে অথবা সংশোধনীয় কোনো প্রস্তাব থাকলে বিবেচনায় থাকবে ইনশা আল্লাহ। হে আল্লাহ, আমার এ ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাকে কবুল করুন।
সকল প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীনের জন্য যিনি নিখিল বিশ্বের প্রতিপালক, অনুগ্রহশীল পরম করুনাময় এবং যিনি কিয়ামত দিবসের মালিক। দুরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর, যিনি পৃথিবীতে রহমতস্বরূপ প্রেরিত হয়েছেন এবং তাঁর পরিবার পরিজন, সাথীবর্গ ও তাবে‘ঈনদের ওপর কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহর অনুগ্রহ বর্ষিত হোক।
অতঃপর বারযাখী জীবন এবং কবরের শাস্তি ও শান্তি সম্পর্কীয় কতগুলো মাসআলা সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়েছে। ইহা পরকালে মুক্তির দিক নির্দেশনা (পরিদর্শন ও উপদেশ) হিসাবে তৈরি করেছি, যা সৌদি আরবের রেডিও কুরআনে কারীম থেকে প্রচার করার জন্য তৈরি করেছিলাম। অতঃপর কতিপয় আলেম অনুরোধ করেন রেডিওতে প্রচারিত আলোচনাগুলো একটি পুস্তকাকারে প্রকাশ করার জন্য। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে অন্যান্য বিষয় বাদ দিয়ে এ আলোচনাটিই বেছে নিয়েছি এই আশায় যে, এতে অন্তরের উপদেশ ও আল্লাহ তা‘আলার দিকে প্রত্যাবর্তনের কথা আত্মাকে স্মরণ করিয়ে দিবে এবং তা জুমু‘আর খুৎবা ও মজলিসে পাঠের জন্য উপযুক্ত বিষয় হিসেবে মনে করি।
পরিশেষে আল্লাহ তা‘আলার নিকট তাওফীক কামনা করছি যে, তিনি যেন আমাদিগকে সঠিক পথ প্রদর্শন করেন এবং কিয়ামতের কঠিন শাস্তি থেকে আমাকে, আমার মা-বাবা, ভাই-বোন, ছেলে-মেয়ে এবং সকল মুসলিম ভাই-বোনকে মুক্তি দান করেন।
ক্রম বিষয়
1. অনুবাদকের কথা
2. বারযাখী জীবন
3. আকাশ ও জমিনে মুমিন আত্মার বিচরণ
4. আকাশ ও জমিনে খারাপ আত্মার ভ্রমণ
5. কবরের শাস্তি ও শান্তি
6. কবরের শাস্তি ও শান্তি ---মতামত
7. কবরবাসীদের অবস্থার কিছূ বিবরণ
8. কবরে শাস্তি হওয়ার কারণসমূহ
9. কবরের ‘আযাব থেকে মুক্তির উপায়
10. বারযাখী জীবন সম্পর্কে কিছু মাসআলা
11. কবরের জীবন ও ফায়সালা
12. মৃত্যুর পর কবরের সুখ-শান্তির ফয়সালা হবে যেভাবে
This version of কবরের আযাব কত কঠিন Android App comes with one universal variant which will work on all the Android devices.
If you are looking to download other versions of কবরের আযাব কত কঠিন Android App, We have 1 version in our database. Please select one of them below to download.