যে সব আইন দেয়া আছে...
১. মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন
২. অর্থ ঋণ আদালত আইন
৩. ব্যাংক কোম্পানি আইন
৪. কোম্পানি আইন
৫. তামাদি আইন
৬. নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট এ্যাক্ট
৭. পাওয়ার অব এটর্নি আইন
অ্যাপ এর আপডেট চলমান আছে। সামনে আরো আইন সংযুক্ত করা হবে। আইন সমূহ আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে নেয়া হয়েছে, আমার নিজস্ব কোন সৃৃষ্টিকৃত আইন এখানে দেয়া হয়নি।
ব্যাংকিং পেশাটা এমন এক পেশা, যেটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ব্যাংকারকে সব ধরনের আইন-কানুন সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখতে হয়। তাই ‘সকল কাজের কাজী’ কথাটা ব্যাংকারের জন্য বেশি খাটে। তবে একজন ব্যাংকার যত জ্ঞানই রাখুক না কেন, এ দেশে বন্ধক ও সম্পত্তির স্বত্ব-বিষয়ক আইন-কানুন সম্পর্কে তাকে একটু বেশিই জ্ঞান রাখতে হয়। ক্ষেত্রবিশেষে এ বিষয়ে ব্যাংকারের জ্ঞান একজন আইনজ্ঞের জ্ঞানকে ছাড়িয়ে যেতে হয়। কারণ একজন আইনজ্ঞ একটি সম্পত্তি বন্ধক রাখার জন্য যে পরামর্শ দিয়ে থাকেন, সে পরামর্শের ওপর ভিত্তি করে ব্যাংক শতকোটি টাকার ঝুঁকি নিয়ে থাকে। আর যদি সে পরামর্শে কোনো ধরনের ত্রুটি থাকে, ব্যাংককে গুনতে হয় শতকোটি টাকার লোকসান। প্রত্যেক ব্যাংকের শাখায় আইনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু আইন উপদেষ্টাকে মনোনয়ন দেয়া হয়। কাজের পরিধি ও চাহিদার ওপর ভিত্তি করে যেখানে শাখা আছে, সে অঞ্চলের আদালতে নিয়োজিত অভিজ্ঞ আইনজীবীকে প্যানেলভুক্ত করা হয়। যে আইনজীবী যে কাজে পারদর্শী, সে আইনজীবীর (আইন উপদেষ্টা) কাছ থেকে সে ধরনের কাজে শাখার চাহিদা মোতাবেক আইনি উপদেশ নেয়া হয়। তাই প্রায় প্রতি জেলাতেই একাধিক আইন উপদেষ্টাকে মনোনয়ন দিতে হয়। সাধারণত অভিজ্ঞ আইনজীবীদের ব্যাংকগুলো অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। আর তাই অভিজ্ঞ ও খ্যাতিমান আইনজ্ঞ যারা প্যানেল আইনজীবী হতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন, তারা প্রায় সব ব্যাংকেই আইন উপদেষ্টা হিসেবে মনোনয়ন পেয়ে থাকেন। এমনিতেই খ্যাতিমান আইনজ্ঞরা বিবিধ মামলার ভারে জর্জরিত থাকেন, তদুপরি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আইনি সেবার বাড়তি চাহিদা মেটানোর প্রয়োজন পড়ে। প্রচণ্ড কর্মচাপ ও সময়ের অভাবে অনেক আইনজ্ঞ তাই ব্যাংকের বিষয়গুলোয় প্রয়োজনীয় মনোযোগ দিতে পারেন না বলে প্রতীয়মান হয়। আর যখনই একটি বিষয়ে প্রয়োজনীয় মনোযোগ না দেয়া হয়, তখন ওই বিষয়ে ভ্রান্তি থেকে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। আর এ ভ্রান্তির কারণে পরবর্তীতে যদি ব্যাংক ক্ষতির সম্মুখীন হয়, তখন এর দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট আইন উপদেষ্টার উপরেই বর্তায়। কিন্তু এ ধরনের ক্ষতির কারণে আইন উপদেষ্টার দায়দায়িত্ব কিংবা জবাবদিহিতার মাত্রা নিরূপণের জন্য দেশে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা আছে বলে প্রতীয়মান হয় না। সম্ভবত সে কারণেই অনেক আইন উপদেষ্টা ব্যাংকিং বিষয়-আশয়গুলোয় সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে যথাযথ মনোযোগ দেন না। খেলাপি গ্রাহকের বিরুদ্ধে রুজু করা ব্যাংকের মামলা কয়েক বছরেও নিষ্পত্তি না হওয়ার অন্যতম কারণ ব্যাংকের আইন উপদেষ্টা কর্তৃক যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়া। একজন আইনজীবীর যদি একই দিন কয়েকটি আদালতে শুনানি থাকে, তখন তিনি নিজের সুবিধামতো অগ্রাধিকার নির্ণয় করেন। আর সে অগ্রাধিকারের পাল্লায় ব্যাংকের মামলাটি কম গুরুত্ব পায়। তখন তিনি সময়ের প্রার্থনা দাখিল করে ওইদিন পার করেন। কিন্তু ওই একটি দিন তিনি সময় না দেয়ায় মামলাটির পরবর্তী তারিখ নির্ধারিত হয়। পরবর্তী তারিখ মানে কয়েকটি মাস। এভাবে ব্যাংকের মামলাটি নিষ্পত্তির দৌড়ে বার বার পিছিয়ে পড়ে। আর বিবাদীর পক্ষ থেকে মামলাটির পিছ টেনে ধরার প্রচেষ্টা তো বলাই বাহুল্য। এজন্য দেখা যায় ব্যাংকের মামলাগুলো নিষ্পত্তি হতে কয়েক গুণ বেশি সময় লাগে। অথচ ব্যাংকের মামলা মানে ১৬ কোটি মানুষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট মামলা, যেটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাওয়ার কথা। প্রায়োগিক ক্ষেত্রে যা হওয়ার কথা তা হয় না, যা দেখার কথা তা দেখা যায় না।
মামলা-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ব্যাংকাররা আইন উপদেষ্টার ওপর শতভাগ নির্ভরশীল থাকতে বাধ্য হলেও স্বত্বের মালিকানার সঠিকতা যাচাইয়ে তারা আইন উপদেষ্টাদের ওপর দায়িত্ব দিয়ে নির্ভার থাকতে পারেন না। কারণ আইন উপদেষ্টার কাজে বা পদক্ষেপে কোনো ভুলের কারণে ব্যাংক ক্ষতির সম্মুখীন হলে সব ঝক্কিঝামেলা ব্যাংকারের কাঁধেই আসে। আর তাই ডকুমেন্টেশনে ব্যাংকার আইনজীবীর ওপর দায়িত্ব পুরোপুরি ছেড়ে দিয়ে নির্বিকার থাকার কোনো জো নেই।
লেখক: ব্যাংকার
[email protected]
This version of ব্যাংকারের আইন Android App comes with one universal variant which will work on all the Android devices.
If you are looking to download other versions of ব্যাংকারের আইন Android App, We have 1 version in our database. Please select one of them below to download.