অ্যাপটি ভাল লেগে থাকলে একটা ৫ স্টার রেটিং দিন ।
কারন ৫ স্টার রেটিং দিলে অন্যদের কাছেও এই অ্যাপটি অতি সহজেই পৌছে যাবে।
এবং আপনার কারনে অন্যরাও সুরা টি পড়ার, বুঝার, শোনার এবং চাইলে অর্থসহ অথবা/এবং অর্থ ছাড়া সুরা টি মুখস্ত করার সুযোগ পাবে |
একটা রেটিংয়ে সর্বোচ্চ ১ মিনিট সময় লাগবে ।
আপনাদের বেশি বেশি রেটিং এবং সুন্দর সুন্দর কমেন্ট আমাদেরকে এই অ্যাপ্লিকিশনটির দ্রুত আপডেট দেয়ার কাজে অনুপ্রেরনা যোগাবে।
সূরা বণী ইসরাঈল - ১৭
১১১ আয়াত, ১২ রুকু, মক্কী
[দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে]
ভূমিকা : পূর্ববর্তী সূরার ভূমিকাতে বলা হয়েছে যে, প্রতিটি সূরার শিক্ষা ক্রমান্বয়ে ধাপে ধাপে আত্মাকে উন্নতির দিকে পরিচালিত করে। কোরাণ শরীফের প্রথম সাতটি সূরাতে মানুষের ধর্মীয় শিক্ষার প্রাচীন ইতিহাসকে তুলে ধরা হয়েছে ধাপে ধাপে। ক্রমান্বয়ে তা কোরাণের শিক্ষা ও হযরত মুহম্মদের (সা) বা আল্লাহ্র প্রেরিত দূতের পরিচালনায় পরিচালিত মুসলিম উম্মা বা সম্প্রদায়ের গঠন পর্যন্ত এসে শেষ হয়েছে। পরবর্তী শ্রেণীর সূরা হচ্ছে viii-xvi পর্যন্ত। সূরা viii-xvi পর্যন্ত সূরাগুলিতে আলোচনা করা হয়েছে নূতন সম্প্রদায়ের জন্য মনোনীত সামাজিক নিয়ম-কানুন, যাতে প্রতিটি মানুষ তাদের সামাজিক অবস্থান, সম্প্রদায়ের প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য সম্বন্ধে অবহিত হতে পারে। অর্থাৎ সম্প্রদায় বা জাতি হিসেবে পৃথিবীতে চলার ও উন্নতি করার পথ নির্দেশ আছে এই সূরা গুলিতে। [দেখুন সূরা viii, x এবং xvi এর ভূমিকা ]।
ধর্মীয় ইতিহাসে নূতন সম্প্রদায়ের গঠন ও শৃঙ্খলা বিধানের জন্য করণীয় নির্দেশনার পরে এবারে শুরু হচ্ছে নূতন সূরার ক্রমপঞ্জিতে সূরা xvii-xxi পর্যন্ত। সম্পূর্ণ ক্রমপঞ্জিকে আবার তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়। বিভক্তিগুলি নিম্নরূপ xvii-xxi পর্যন্ত; xxii-xxv পর্যন্ত এবং xxvi-xxix পর্যন্ত। ক্রমপঞ্জির প্রথম সূরা [xvii] শুরু হয়েছে "ইস্রা" শব্দটি দ্বারা। [আয়াতে উল্লেখিত মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আক্সা পর্যন্ত সফরকে "ইস্রা " বলা হয় এবং সেখান থেকে আসমান পর্যন্ত যে সফর হয়েছে তার নাম মে'রাজ।]
এই ক্রমপঞ্জির সূরা গুলিতে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে, কিভাবে প্রতিটি মানুষ তার নিজস্ব কর্মের দ্বারা, চারিত্রিক গুণাবলী অর্জনের মাধ্যমে আত্মিক উন্নতি লাভ করতে পারে। ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে প্রাচীন নবী রসুলদের কাহিনীর অবতারণা করা হয়েছে। বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে ব্যক্তির নিজস্ব ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক চেতনা বিকাশের উপরে। সূরা xxii-xxv গুলিতে উল্লেখ করা হয়েছে ব্যক্তিগত এবাদতের যেমন: হজ্ব, সালাত ও প্রার্থনা , কৌমার্য, গোপনীয়তা প্রভৃতি ব্যক্তিগত এবাদত যা মানুষের আত্মিক উন্নতির সোপান স্বরূপ। সূরা xxvi-xxix গুলিতে পুণরায় প্রাচীন পয়গম্বরদের উল্লেখ আছে। এবারের প্রেক্ষাপট পূর্বের প্রেক্ষাপট থেকে আলাদা, এবারের প্রেক্ষাপটে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে সামাজিক প্রেক্ষাপটে আত্মিক উন্নতির জন্য ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা ও এবং মহান ব্যক্তিত্বের প্রেক্ষাপটে সামাজিক উন্নতির উপরে।
উপরের ভূমিকার প্রেক্ষাপটে আমরা সূরা xvii কে বিবেচনা করবো। এই সূরা শুরু হয়েছে মেরাজের উল্লেখের মাধ্যমে। এই রজনীতে রসুলকে (সা) মসজিদুল হারাম (মক্কা) থেকে মসজিদুল আক্সা (জেরুজালেম ) পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে তাঁকে আল্লাহ্র কিছু নিদর্শন দেখানো হয়। অধিকাংশ তফসীরকারের মতে তিনি সশরীরে আল্লাহ্র আরস পর্যন্ত আরোহণ করেন। হাদীস সংগ্রহে মেরাজ সম্বন্ধে বিশদভাবে বিবৃত করা হয়েছে যা পাঠে মেরাজের তাৎপর্য উপলব্ধি করা যায়। পবিত্র নবীকে (সা) প্রথমে, আল্লাহ্র প্রেরিত প্রত্যাদেশ সমূহের আদিভূমি জেরুজালেম নেয়া হয়, তার পরে তাঁকে সপ্ত আসমান ভ্রমণ শেষে আল্লাহ্র সিংহাসনে নীত করা হয়।
মেরাজের অভূতপূর্ব কাহিনী হচ্ছে ধর্মীয় জগতে মানুষের আধ্যাত্মিক চেতনার পরিক্রমার প্রতীক স্বরূপ। মেরাজের পটভূমিতে বর্ণনা করা হয়েছে পৃথিবীতে আধ্যাত্মিক উন্নতির সোপান সমূহ। আধ্যাত্মিক উন্নতির প্রথম ধাপই হচ্ছে নৈতিক চরিত্রের উন্নতি। সততা ও সুষ্ঠরূপে নিজ দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় নৈতিক চরিত্রের পাঠ। সন্তান ও পিতামাতার পরস্পরের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য , সঙ্গী-সাথীদের প্রতি দয়া ও সহানুভুতি প্রদর্শন , বিপদে সাহস ও দৃঢ় মনোবল থাকা, ব্যক্তিগত দায়-দায়িত্ব স্বীকার করা , নামাজ বা আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা করা এবং সর্বাবস্থায় আল্লাহ্র উপস্থিতি নিজ সত্ত্বার ভিতরে অনুভব করা ইত্যাদি হচ্ছে নৈতিক চরিত্রের উন্নতির প্রথম পাঠ।
সারসংক্ষেপ : নবীকে (সা) মেরাজের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা দান করা হয়, যেনো মানুষ -আল্লাহ্র নিদর্শন উপলব্ধি করতে পারে, এবং স্বচ্ছ ধারণা জন্মে। মানুষ মন্দ দ্বারা বিপথে চালিত হয়। মানুষের সব কাজ ব্যক্তিগত দায়-দায়িত্ব দ্বারা পরিচালিত হবে [ ১৭: ১-২২]
আল্লাহ্র সেবা নিহিত আছে সামাজিক সম্পর্কের মাঝে যথাঃ পিতামাতার প্রতি দয়া ও ভালোবাসা, জ্ঞাতিদের প্রতি এবং অভাবী অনাত্মীয়ের প্রতি দয়া ও সহানুভুতি প্রদর্শন, সন্তানের প্রতি কর্তব্য পালন, যৌন জীবন কে পবিত্র রাখা, মানুষের জীবনকে ন্যায় ও সম্মানের ভিত্তিতে বিচার করা, এতিমদের রক্ষা করা, যে কোন লেন-দেনে ন্যায়কে সম্মুন্নত রাখা, অহংকার ও উদ্ধত স্বভাবকে পরিহার করা। [১৭:২৩-৪০]
This version of সূরা বনী ইসরাঈল (العربية উচ্চারণ,অর্থ,English,Mp3) Android App comes with one universal variant which will work on all the Android devices.
If you are looking to download other versions of সূরা বনী ইসরাঈল (العربية উচ্চারণ,অর্থ,English,Mp3) Android App, We have 1 version in our database. Please select one of them below to download.