অ্যাপটি ভাল লেগে থাকলে একটা ৫ স্টার রেটিং দিন ।
কারন ৫ স্টার রেটিং দিলে অন্যদের কাছেও এই অ্যাপটি অতি সহজেই পৌছে যাবে।
এবং আপনার কারনে অন্যরাও সুরা টি পড়ার, বুঝার, শোনার এবং চাইলে অর্থসহ অথবা/এবং অর্থ ছাড়া সুরা টি মুখস্ত করার সুযোগ পাবে |
আপনাদের বেশি বেশি রেটিং এবং সুন্দর সুন্দর কমেন্ট আমাদেরকে এই অ্যাপ্লিকিশনটির দ্রুত আপডেট দেয়ার কাজে অনুপ্রেরনা যোগাবে।
সূরা তাওবা (অনুতাপ) বা বারাআত (সম্পর্কচ্ছেদ) - ৯
আয়াত ১২৯, রুকু ১৬, মাদানী
ভূমিকা : সূরা তাওবাহ্ (অনুতাপ) বা বারাত (রেহাই প্রাপ্ত) যুক্তিসঙ্গতভাবেই এই সূরাকে পূর্ববর্তী সূরার (৮) ধারাবাহিকতারূপে পরিগণিত করা যায়। শুধু ধারাবাহিকতা নয়, পূর্ববর্তী সূরার অংশরূপে গণ্য করা যায়। যদিও পূর্ববর্তী সূরা (৮) এবং এই সূরার (৯) অবতীর্ণ হবার সময়ের মধ্যে প্রায় সাত বছরের ব্যবধান রয়েছে।
পূর্বের সূরাতে (৮) নূতন মুসলিম সম্প্রদায়ের সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। মুসলমানদের সুশৃঙ্খল জাতি হিসেবে অভ্যুত্থান, যুদ্ধের ময়দানে প্রতিরক্ষার নিয়ম-কানুন, যুদ্ধ জয়ের পরে যুদ্ধলব্ধ মালের সুষ্ঠ বণ্টনের নিয়মাবলী, সম্মিলিতভাবে শত্রুসেনাদের পরাভূত করতে জাতীয় জীবনে যেসব গুণাবলীর প্রয়োজন হয় এবং যুদ্ধ জয়ের প্রাক্কালে শত্রুদের প্রতি সদয় ব্যবহার, যা ব্যক্তির চরিত্রকে মহিমান্বিত করে প্রভৃতি আলোচনা করা হয়েছে। এই সূরাতে আলোচনা করা হয়েছে যে, যদি শত্রুরা তাদের সাথে সম্পাদিত চুক্তি লঙ্ঘন করে এবং বিশ্বাস ঘাতকতা করে - তখনকার করণীয় কর্তব্য। এটা সর্বজন স্বীকৃত সত্য যে শত্রুপক্ষ চুক্তি ভঙ্গ করলে তা মেনে চলার দায়িত্ব অন্য পক্ষের থাকে না। ইসলাম তবুও চুক্তিভঙ্গের পরে চারমাস সময় প্রদানের পক্ষে। এই মেয়াদ দেয়া হবে অনুতাপ করার জন্য। ভুল বুঝতে পেরে যদি কেউ মুসলমানদের কাছে ফিরে আসতে চায়, তাদের সে সুযোগ দান করার জন্য মুসলমানদের সখ্যতার হাত সদা-সম্প্রসারিত থাকবে। কিন্তু এর পরেও যদি কেউ অনুতপ্ত না হয় তবে সর্বশক্তি দ্বারা শত্রুদের আক্রমণ করতে হবে। এই-ই হচ্ছে এই সূরার সাধারণ নীতিমালা। পূর্ববর্তী সূরার সাথে ধারাবাহিকতার কারণে এই সূরাকে পূর্ববর্তী সূরার (সূরা আন্ফাল) ক্রম অনুযায়ী বিন্যস্ত করা হয়েছে।
আয়াত (১ - ২৯) পর্যন্ত রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কর্মপন্থা (State Policy) সম্বন্ধে ঘোষণা করা হয়েছে। এই আয়াতগুলিতে যেসব কর্মপন্থা (Policy) ঘোষণা করা হয়েছে তার সময়কাল ছিল ৯ই হিজরী সন, সওয়াল মাস এবং তা সর্বসমক্ষে ঘোষণা করেন হযরত আলী (রাঃ)। এইসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি ঘোষণার জন্য তিনি হজ্জ্বের ময়দানকে বেছে নেন। যদিও আয়াতগুলি অবতীর্ণ হওয়ার দু'মাস পরে তিনি তা করেন। এই গুরুত্বপূর্ণ পলিসিগুলি যাতে ব্যাপকভাবে প্রচার লাভ করে সে কারণেই আয়াতগুলি অবতীর্ণ হওয়ার দু'মাস পরে হজ্জ্বের ময়দানে তা প্রচার ও প্রকাশ করা হয়। এই সূরার পরবর্তী অংশ অর্থাৎ আয়াত ৩০-১২৯ অবতীর্ণ হয় পূর্ববর্তী আয়াতসমূহ অবতীর্ণ হওয়ার কিছু পূর্বে।
সারসংক্ষেপ : মুশরিকদের সাথে মুসলমানদের যে চুক্তি ছিল, তাদের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে সে চুক্তিকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তা কার্যকর করার জন্য চার মাস সময় দেয়া হয় যাতে মুশরিকরা অনুতাপ করার সুযোগ পায় (৯ : ১-২৯)।
কিতাবধারী জাতিরা আল্লাহ্র নির্দেশসমূহকে দুর্বোধ্য করে তুলেছে। কিন্তু সত্য সবার উপরে ভাস্বর হবে। আমরা সর্বদা ধর্মের জন্য যুদ্ধ করতে প্রস্তুত থাকব। তা যদি না করি তবে আমরা আল্লাহ্র পতাকা বহনে অসমর্থ হব; এবং আল্লাহ্ আমাদের স্থলে অন্য আরেক দলকে এই দায়িত্ব অর্পন করবেন [৯ : ৩০-৪২]।
মুনাফিক ও তাদের দ্বিমুখী নীতি : তাদের দুরভিসন্ধি প্রকাশ করা হয়েছে। মু'মিন বান্দাদের জন্য আল্লাহ্র আশীর্বাদ যেমন সন্দেহাতীত, সেরূপ মুনাফিকদের জন্য আল্লাহ্র শাস্তিও অবধারিত [৯ : ৪৩-৭২]।
পাপীকে সবসময় প্রতিহত করতে হবে যদি না সে অনুতপ্ত হয়। মিথ্যাবাদীরা সত্যকে ভঙ্গ করেই সন্তুষ্ট থাকে না। বরং সমস্ত কল্যাণকেই সে উপহাস করে। মুনাফিকদের হিংসা না করে পরিহার করতে হবে [৯ : ৭৩-৯৯]।
আল্লাহ্ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট যারা আন্তরিকভাবে আল্লাহ্র রাস্তায় নিজেকে উৎসর্গ করে। যারা মন্দ কাজের পরে অনুতাপ করে আল্লাহ্ তাদের ক্ষমা করে দেবেন। কিন্তু যারা বিবাদ ঘটায় এবং বিশ্বাসীদের মধ্যে অবিশ্বাস ও অনৈক্যের জন্য প্ররোচিত করে তাদের আল্লাহ্ ক্ষমা করবেন না। বিশ্বাসী বা মু'মিন বান্দারা আল্লাহ্র কাছে পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ করে, ফলে আল্লাহ্ তাদের সীমাহীন সুখ-শান্তি দান করেন। যারা বিশ্বাসে দোদুল্যমান, এবং কর্তব্যকর্মে ব্যর্থতার পরিচয় দেয়, তারাও যদি শেষ পর্যন্ত অনুতপ্ত হয় - দয়াময় আল্লাহ্ তা গ্রহণ করেন [৯ : ১০০-১১৮]।
যারা বিশ্বাসী বা মু'মিন বান্দা, তারা সর্বদা পূণ্যবান, সত্যবাদী ও কর্তব্য-কর্মপরায়ণদের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করবে। যদি সম্প্রদায়ের সমস্ত লোক যুদ্ধক্ষেত্রে যাত্রা করে তবে এক অংশ নিজ অবস্থানে থাকবে, তা এই জন্য যে তারা অধ্যাবসায়ের সাথে ধর্ম সম্বন্ধে পড়াশুনা করবে এবং তাদের ভাইরা যখন প্রত্যাবর্তন করবে তাদের ধর্ম সম্বন্ধে শিক্ষাদান করবে। যারা বিশ্বাসী, প্রতিটি সূরা তাদের বিশ্বাসের ভিত্তিকে আরও সুদৃঢ় করে। যাদের অন্তঃকরণ ব্যাধিগ্রস্থ, তাদের বেলায় সন্দেহ ক্রমাগত আরও বৃদ্ধি পেতে থাকে। মহা আরশের অধিপতি আল্লাহ্তে বিশ্বাস স্থাপন কর [৯ : ১১৯-১২৯]।
This version of সূরা আত তাওবাহ Android App comes with one universal variant which will work on all the Android devices.
If you are looking to download other versions of সূরা আত তাওবাহ Android App, We have 1 version in our database. Please select one of them below to download.